আমি বিশ্বাস করি, আমার একজন স্রষ্টা আছেন; যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমার একজন রব আছেন; যিনি আমায় ‘লালন-পালন’ করেন। আমি ক্ষুধার্ত হলে খাবার দেন। পিপাসিত হলে পানির ব্যবস্থা করেন। অসুস্থ হলে সুস্থ করে তোলেন। বিপদে পড়লে উদ্ধার করেন। তিনি আমার আল্লাহ। তিনি এক ও অদ্বিতীয় সত্তা।
এই বিশাল পৃথিবী তাঁর সৃষ্টি। নীল আকাশ, চোখধাঁধানো সোনালি সূর্য, বহু দূরের গ্রহ ও নক্ষত্র তাঁর সৃষ্টি। রাতের রূপালী চাঁদ, ভোরের কোমল বাতাস তাঁর সৃষ্টি। সাগর-নদী, ঝরনার স্বচ্ছ মিষ্টি পানি, সুউচ্চ পর্বতরাজি, সবুজ বনানী ও বিস্তৃত মরুভূমি তাঁরই সৃষ্টি।
শিশিরভেজা ঘাসের সবুজে আমি তাঁকে অনুভব করি। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে আমি তাঁর ‘অস্তিত্বের সুর’ শুনি। মায়াবী চাঁদের জোসনায়, নীল আকাশে উড়ন্ত মেঘের ভেলায় আমি তাঁকে খুঁজে পাই। বর্ষার প্রথম কদমফুলে, গোলাপের কোমল পাপড়িতে আমি তাঁর সন্ধান পাই।
আমি তাদের মতো নই, যারা অবিশ্বাসী ও নাস্তিক। যাদের মস্তিষ্ক শুষ্ক। চিন্তা ও চেতনা অসুস্থ। হৃদয় স্বচ্ছ অনুভূতি থেকে শূন্য। অন্তরচক্ষু অন্ধ। এই বিশাল সৃষ্টিজগত দেখেও যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না। এই অপার সৌন্দর্য দেখেও যারা সৌন্দর্যের স্রষ্টাকে অনুভব করতে পারে না; অনুভব করার চেষ্টা করে না। আমি তাদের মতো নই। আমি একজন মুমিন। একজন মুসলিম। একজন বিশ্বাসী।
