আমি তো পাখির কাব্য লিখিরে
ঘাসের কাব্য লিখি..
আমি তো বনের ঝিঁঝিদের কাছে
ঝাঁঝর-ছন্দ শিখি।..
আমি তো গাছের কাব্য লিখিরে
মেঘের কাব্য লিখি..
বহতা নদীর ঢেউরা জোগায়
আবেগের ঝিকিমিকি!..
আমি পাহাড়ের নিঝরের গানে
জীবনের খোঁজ করি..
সাঁঝের পাখির পালক কুড়িয়ে
বুকের পকেটে ভরি।..
ইমলি বনের আলোর খজ্যোতি
স্বপ্ন দোলায় চোখে..
সুখেও আমাকে প্রকৃতি দোলায়
দুঃখ ভোলায় শোকে।..
মানুষের কাছে কখনোই কিছু
চাই নাই নতমুখে..
লোভের লাইনে যাইনি কখনো
নতজানু হয়ে ঢুকে।..
তবুও আমার পথে কেন থাকে
শত্রুরা ওৎ পেতে..
আঁধার গলিতে কাঁটা ফেলে রেখে
দেয় না সমুখে যেতে।
মাঠের শেষের কাশের ঝোপেও
তূণ হাতে থাকে বসে–
কানে গোঁজা সাদা শরের কলম
বিস্ময়ে পড়ে খসে।..
আমি তো শুধুই কুড়াই বনের
ঝরে পড়া লাল জবা..
তবু কেন ওরা গোপনে চালায়
আমাকে বধের সভা!..
মানুষ তোমরা চাও কি জানি না
কিছুই নেইতো কাছে;
শুধু বুক ভরা পাতাঝরা সুর
ঢেউয়ের শব্দ আছে..
আছে উপলের ঝর্না-আবেগ
পাখিদের কলগীতি..
আছে বিভোরতা নিশির স্বপন
শোকে পোড়া সুখস্মৃতি।..
আছে হৃদয়ের গোপন কুঠিতে
সোনালি পাখির পালক..
আমাকে বধে কি পাবে সেই সব
কূটমানুষের বালক?
