ইসলাম। আমাদের গর্বের ধন। আশ্রয়ের শেষস্থল। একটি সুকুমার সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের প্রতিটি আদেশ নিষেধ ‘মেডিসিন’ নয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, দেশীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সবসমস্যার সমাধান আমরা একমাত্র ইসলামেই পেতে পারি। আমাদের পূর্ণঙ্গজীবনবিধান ইসলাম কোন বৃত্তে আবদ্ধ নয়। পৃথিবীর পামর পাপিতাপি স্বীকার করুক বা না করুক। সমস্যা সমাধানে ইসলামই আমাদের শেষ ভরসা। হ্যাঁ, বন্ধুরা! এটাই আমাদের ইসলাম।
চোখ খোলা রেখে বলি, যেমন ধরোÑ বর্তমানে যিনা-ব্যাভিচার ও ধর্ষণ আমাদের দেশের একটি মৌলিক ও জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান আমাদেরকে কোন ঠুনকো মতবাদের আলেয়াতে নয়; ইসলামের আলোয়ে খুঁজতে হবে। পৃথিবীর অপরাপর অপয়া কোন মতবাদ কিংবা উচ্ছিষ্ট কোন মানবরচিত দর্শন এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। এসব মানব রচিত মতবাদের কাছে সমস্যার সমাধান তালাশ করা আর অরণ্যেরোদন একই জিনিস।
তোমাদের একটি যুক্তি দিয়ে বুঝাই, এই যে দুনিয়ার সামগ্রিক মতবাদের সৃষ্টি, এর আঁতুর ঘর কিন্তু মানুষের কল্পিত জ্ঞান বৈকি? মানুষ বর্তমানের নিরিখে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের জন্য নতুন নতুন সিদ্ধান্তে উপনিত হচ্ছে। মানুষের কাছে শুধু বর্তমানের জ্ঞান আছে। সে অতীত ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একদম অজ্ঞ। ফলে মতবাদ তৈরির প্রবক্তা দার্শনিকদের পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে। আজকের আইনই কালকে অকেজ হয়ে যাচ্ছে। তাই আইন প্রণেতা এমন হওয়া চাই যিনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সমানভাবে জানেন ও বুঝেন। নতুবা দু’দিন পর আবার ‘থুক্কু’ দিতে হবে। কারণ কোন মানুষ অতীত জানে না। জানে না ভবিষ্যৎ।
মানব রচিত মতবাদ ‘গণতন্ত্র’র কথাই ধরো! এ মতবাদের কাছে পরস্পর সম্মতিতে বিয়ে বহির্ভূত যৌনাচার বৈধ এবং পরস্পর সম্মতি ছাড়া এ কাজটিই অবৈধ। আচ্ছা বল তো! কোন প্রকৃত খারাপ কাজ কি হঠাতই কোন দর্শনের চক্করে পড়ে ভালো হয়ে যেতে পারে? তাই বলি, আজকে পৃথিবীব্যাপী সব অস্থিরতার জন্য কথিত এসব দর্শনই দায়ী।
বন্ধুরা, এ অশান্ত পৃথিবীর অস্থিরতা দূর করতে আমাদেরকে ইসলামের আলোয়ে ফিরে আসতে হবে। দেখ, আল্লাহ তায়ালা কত দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলেছেনÑ ‘আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন চায়, তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্ন্তভূক্ত হবে’। (আল ইমরান;৮৫)
তাই মুসলমানমাত্রই ইসলাম ছাড়া দুনিয়ার কোন মতবাদ সে কল্পনা করতে পারে না। আমাদের আকিদা বিশ্বাস ও ঈমানের মূলস্তম্ভ হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ দীন তথা ইসলাম। কোন খণ্ডিত ধর্ম-দর্শন সে তো আমাদের আস্থা ও বিশ্বাসের আশ্রয়স্থল নয়। বোধ ও বিশ্বাসের এ বীজ আমাদেরকে শিশুকাল থেকেই হৃদয়ে রোপণ করতে হবে।
বন্ধুরা! তোমরা জান, একটি শিশুর ফিতরাত হচ্ছে একটি উর্বর জমি। সেখানে মহীরুহু হয়ে উঠে এক সময়ের চারাগাছ। এ উর্বর জমিই কখনো চাষির উদাসীনতায় আগাছায় সয়লাব হয়ে যেতে পারে।
তাই বাল্যবেলা থেকে সব সমস্যার সমাধানে আমাদেরকে ইসলামের আশ্রয়ে যেতে হবে। এ মনন তৈরি করতে হবে এখনথেকেই। আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল যেন এ ইসলামই হয় সে প্রতিজ্ঞা হোক সময়ের এ অবসরে।