কবিতা
ঝন্টু মামাই সেরা
রমজান আলী
ঝন্টু মামার নাম শুনেছ তোমরা অনেক আগে
বাঘ ভালুককে মারতে পারে পেলে মামা বাগে।
কথার লড়াই দারুণজানে পুরাই ষোল আনা
বড় বড় চাপাবাজি সেও তো মামার জানা।
কথায় কথায় বলেন মামা তিনিই নাকি সেরা
সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়ে ধরেছিলেন ভেড়া।
এটা নিয়ে মামার এখন ভীষণ অহংকার
সুযোগ পেলে বাঘের গলায় দেবেন তিনি হার।
খাবার বেলায় ঝন্টু মামার জুড়ি মেলা দায়
গামলা সাতেক খেয়ে পরে আরো দুয়েক চায়।
পড়াশোনায় আইএ, বিএ পাশ করেছেন আগে
পিএইচডিটাও করতেন তিনি যদি পেতেন ভাগে।
পেটের অসুখ কী বা কী দুখ, ঝন্টু মামা এসে
ঔষধ দেবেন নাড়ি দেখে বার দুয়েক কেশে।
পাড়ার লোকে বলে, ও তো নিজেই একটা ভেড়া
যে যাই বলুক মোদের কাছে ঝন্টু মামাই সেরা।
শীত জমে
শাজাহান কবীর শান্ত
চারিদিকে শুভ্র কোমল সাদা ফেনার ঢল
আকাশ পথে আসছে উড়ে শীত পাখিদের দল।
দলের পাখি মেলে আঁখি ফেলবে কোথায় পা
ওই তো দূরে শ্যামল সবুজ বিল-বাওড়ের গাঁ।
বিদেশিনী পাখির সাথে ভরলো সোনার বিল
মিঠেল রোদের মাখামাখি টিপ পরালো নীল।
নীলের নিচে বিলের ছবি মাছ বেঁধে নেয় ঝাঁক,
অতিথিরা খেয়ে দেয় যে আয়েশি এক ডাক।
শীতের সকাল রোদের খেয়ায় দমিয়ে রাখে দিন
শিশির ধোয়া কুয়াশারা জমিয়ে রাখে ঋণ।
ঋণের বোঝা নেয় চাপিয়ে গাছের ডগার ফুল
শীতটা জমে কাথার নিচে তুলতুলে তুলতুল।