কুরআনের পাখি

(হযরত মাওলানা ক্বারি বেলায়েত হুসাইন (রহঃ) এর স্মরণে)

বাবার মনে ইচ্ছে জাগে ছেলে হবে আলেম
তাঁর উছিলায় মন্দ ছেড়ে ভালো হবে জালেম।
ইচ্ছে থেকেই মাদরাসাতে ভর্তি করেন তাঁকে
দোয়া করেন ছেলে যেন দ্বীনের পথে থাকে।

মহান প্রভু বাবার দোয়া কবুল করে নিলেন
ইসলামেরই সেবা করার সুযোগ করে দিলেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সবার নজর কাড়েন
সবার থেকে বেশি তিনি পড়ালেখা পাড়েন।

হাফেজ্জী আর সদর সাহেব ছিলেন তাঁরই পীর
সবার বুকে ছুঁড়েন তিনি ভালোবাসার তীর!
আলেম হয়ে তিনি বাবার স্বপ্ন পূরণ করেন
সুগন্ধিময় ফুলের মতো জীবনটাকে গড়েন।

দোয়া নিয়ে শুরু করেন শিক্ষকতার পেশা
বাচ্চাদেরকে পড়ানোটা ছিল তাঁরই নেশা।
একটা সময় মনের কোণে স্বপ্ন আঁকেন তিনি
সারা দেশে ঘুরেফিরে তালীম দিবেন দ্বীনি।

শুদ্ধ করে পড়বে কোরআন দেশের মানুষ সব
কীভাবে তা করবে শুরু, করেন অনুভব।
একটা সময় খুলে গেলো সম্ভাবনার দ্বার
নূরানী এক পদ্ধতি যে করেন আবিষ্কার।

পদ্ধতিটা নিয়ে তিনি সবার কাছে যান
সবাই এটা দেখে নতুন আলো খুঁজে পান।
সেই আলোতে আলোকিত আমার সোনার দেশ
মক্তবে এই পদ্ধতিটা চলছে এখন বেশ।

লাখো মানুষ হচ্ছে জ্ঞানী তাঁর লেখা বই পড়ে
অনেক অনেক ভালোবাসা রেখে তাঁরই ত্বরে।
দেশবাসীকে কাঁদিয়ে তিনি গেলেন প্রভুর ডাকে
তাঁর শেখানো পদ্ধতিটা সবার মনে থাকে।

এই মনীষীর নামটা হলো ক্বারী বেলায়েত
ইতিহাসের মহান পুরুষ, মুক্তো, পাথর শ্বেত।
তিনি ছিলেন খাঁটি আলেম কোরআনেরই পাখি
তাঁর স্মৃতি সব ভালোবেসে বুকের মাঝে রাখি।

Share on facebook
ফেইসবুক
Share on twitter
টুইটার

১ thought on “কুরআনের পাখি”

Leave a Comment

অন্যান্য