মানুষ বিভিন্নভাবে মনের ভাব প্রকাশ করে। কখনো কথার মাধ্যমে, কখনো কলমের মাধ্যমে, কখনো ইশারার মাধ্যমে। যে কোন মানুষ যে কোন পন্থায় তার ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীন। কিন্তু কলমের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করাটা কিছু নির্দিষ্ট মানুষের সাথে সীমাবদ্ধ মনে করা হয়। কিছু মানুষের ধারনা বড়দের কলমই শুধু কথা বলবে। ছোটদের কলম কথা বলার যোগ্য নয়। কেননা কলমের দ্বারা কথা বলতে যোগ্যতার প্রয়োজন। আর এটা ছোটদের নেই।
তারা বড়দের কলমের চমকপ্রদ কথা শুনে আত্মাতৃপ্তি লাভ করে। তাদের কলমের কণ্ঠে ভেসে ওঠে হকের আওয়াজ এবং বাতিলের বিপক্ষে প্রতিবাদী সুর। ফলে মানুষ ভক্তিভরে শ্রদ্ধারসাথে শুনতে থাকে বড়দের কলমের কথা। মানুষ কখনো বুঝতে চেষ্টা করেনি, ছোটদের কলমও কিছু বলতে চায়। আর বলতে বলতেই তার যোগ্যতা তৈরির আগ্রহ সৃষ্টি হবে। বলতে না-পারা কথাগুলো হারিয়ে যায় দূর অজানায়। প্রশ্ন হতে পারে না-বলতে পারার কারণটা কী? উত্তর হবে, বিদ্রুপের অট্টহাসি।
কেননা যদি কোন ছোট মানুষের কলম কিছু বলতে চায়,তবে অন্যদের বিদ্রুপের অট্টহাসি চেপে ধরে তার কলমে মুখ। ফলে কখনো বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে ছোটদের কলম। আবার কখনো বাকরূদ্ধকর অবস্থায় চিরবিদায় নেয়।
আমাদের চিন্তা করতে হবে বড়রাও একসময় ছোট ছিল। তাদের কলমের মুখেও একসময় ছিল জড়তা। কিন্তু আল্লাহ পাক তাদের চেষ্টা, মেহনতের বদৌলতে তাদেরকে অনেক উঁচু স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। আজ যে ছোট আল্লাহ পাক যদি চান হয়তো সেও কোন একদিন পৌঁছে যাবে তার গন্তব্যে। আমার কোন কথা যেন কারো গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিবন্ধক না হয়। আমার বিদ্রুপের কারণে যেন কারো হিম্মত নষ্ট না হয়। উৎসাহ যোগাতে হবে ছোটদের কলমের প্রতি। শুভকামনা ও ভালবাসা থাকবে ছোটদের প্রতি।
