পেট ভরে খেলে ঘুম ঘুম কেন পায়?
পেট ভরে খাবার পর আমাদের কেমন ঘুম ঘুম অনুভূতি হয়। এ কারণে দুপুরে টিফিন পিরিয়ডের পর অনেককে ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু কেন আমাদের এমন লাগে? এর পেছনে এক চমৎকার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।
একজন সুস্থ পরিণত মানুষের শরীরের প্রায় ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। হৃৎপিণ্ড এই রক্ত পাম্প করে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়। তবে দেহের কোনো অংশেরই রক্তের পরিমাণ নির্দিষ্ট নয়। প্রয়োজনানুযায়ী দেহের বিভিন্ন অংশে রক্তের পরিমাণ বিভিন্ন হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় লিভারে ২৮%, কিডনিতে ২৪%, মাংসপেশিতে ১৫%, মস্তিষ্কে ১৪% এবং বাকি ১৯% রক্ত দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে থাকে। প্রয়োজন মতো রক্তের এই পরিমাণ যে কোনো মুহূর্তে বাড়তে বা কমতে পারে।
ভরপেট খাবার পর পাকস্থলীতে সেসব খাবারের হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ কারণে এ সময় পাকস্থলীতে কাজ বেড়ে যায়। তাই পাকস্থলীতে বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়। এই বাড়তি রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে এখানে জমা হয়। তখন মস্তিষ্কে রক্তের সামান্য অভাব দেখা দেয়। ফলে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা কমে যায়। আমাদের অলস লাগে এবং ঘুম পায়।
আসলে এটা খাওয়ার পর বিশ্রাম নেবার একটা স্বয়ংক্রিয় সঙ্কেত। মানে আরামপ্রিয় শরীর বলতে চায়, চলো একটু বিছানায় গড়িয়ে নেয়া যাক।
চীনের প্রাচীর কি চাঁদ থেকে দেখা যায়?
চীনের প্রাচীর (গ্রেট ওয়াল অব চায়না) সম্পর্কে কে না জানে? এটি পৃথিবীর সবচাইতে জনবহুল দেশ চীনে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর এই আশ্চর্য ও দীর্ঘতম প্রাচীর এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২,৬৯৫ কিলোমিটার এবং উচ্চতা ৪.৫৭ থেকে ৯.২ মিটার বা প্রায় ১৫ থেকে ৩০ ফুট ও চওড়ায় প্রায় ৯.৭৫ মিটার বা ৩২ ফুট। কথিত আছে চিনের প্রাচীরের উপর দিয়ে একসাথে ১২ জোড়া ঘোড়া চলতে পারতো।
প্রাচীরের ইতিহাস : খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে খ্রিস্টীয় ১৬শ শতক পর্যন্ত সময়ে চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য প্রাচীর তৈরি শুরু করা হয়। ২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হওয়া কাজ শেষ হতে সময় লেগেছিল প্রায় ১৫ বছর। যা ইট আর পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়। এ সময় প্রায় একইরকম অনেকগুলো প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল, তবে খ্রিস্টপূর্বাব্দ ২২০ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে চীনের প্রথম সম্রাট প্রন শি হুয়াঙের অধীনে নির্মিত প্রাচীরটিই সবচেয়ে বিখ্যাত।
এটি বর্তমান প্রাচীরের একেবারে উত্তরে অবস্থিত এবং এর খুব সামান্যই অবশিষ্ট আছে। বর্তমান প্রাচীরটি মিং রাজবংশের শাসনামলে নির্মিত হয়। এটা শ্রেষ্ঠ আকর্ষণীয় জিনিসগুলোর মধ্যে একটি যা অত্যন্ত চমৎকৃত এবং বিস্ময়কর। এ কারণেই এটি ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কাবা শরীফ এবং পবিত্র মসজিদে নববীর পর চীনের প্রাচীর হচ্ছে তৃতীয় বস্তু যা চাঁদ থেকে দেখা যায়।