ছড়ার পাতা

ছড়ার পাতা

নতুন বছরের শপথ

শামীম খান যুবরাজ

আল্লাহর নামে শুরু নতুন এক সাল

পুরনো বছর শেষ হলো গতকাল।

এভাবেই জীবনের কমে যায় আয়ু

একদিন শেষ হবে হায়াতের বায়ু।

 

করছি শপথ আমি বুকে হাত রেখে

নতুন বছর হবে সফলতা মেখে

সফলতা মানে ভাই রাস্তাটা সোজা

আল্লাহর জান্নাতি পথটাকে খোঁজা।

 

আর নয় আর নয় দুনিয়ার লোভ

রাখব না কারো প্রতি অনুরাগ; ক্ষোভ

জানি না তো বাঁচবো কি আরো ক’বছর

হাতছানি দিয়ে ডাকে ওই না কবর।

 

নতুন বছরটা হোক আলোময়

পৃথিবীর সব্বার যেন ভালো হয়।

 

নতুন দিনের শপথ

মিযানুর রহমান জামীল

চারদিকে অন্ধকার আলো

বিপদ-আপদ শুভ্র কালো

তবুও বেশ কাটলো ভালো

এই বছরের দিন

শুকরিয়া হে মালিক মহান

রব্বুল আলামীন।

 

তোমার রহম ছায়াতলে

পাহাড় নদী জলে স্থলে

আগামীটা যাক না চলে

সুস্থ নির্ভেজাল,

ন্যায়-ইনসাফে উঠুক ভরে

বছর ঋতু কাল।

 

নতুন বছর শান্ত মনে

আল্লাহপ্রেমের অন্বেষণে

যা বলে যান গুরুজনে

মানবো কথা আর,

আল-কুরানের ছোঁয়ায় জীবন

গড়বো চমৎকার।

 

দিনগুলো হোক সুন্দর অতি

সবার ভালো হোক, না ক্ষতি

নেক কাজে বেড়ে যাক গতি

হোক সুষমা সব,

শুদ্ধ মনের বিকাশ ঘটুক

চাই দোয়া হে রব।

 

আজকে বা কাল-পরশু পরে

করবো ভালো পরের তরে

প্রতিজ্ঞা হোক মনের ঘরে

নিত্য সারাক্ষণ,

নতুন সূর্য হোক উদিত

বদলে যাক এই মন।

 

অলসতা ঝেড়ে ফেলে

মিথ্যাকে সব দূরে ঠেলে

ধরবো সদা সত্য মেলে

ছড়াবো তার ঘ্রাণ

সত্যে অটল জীবনটাও

মহান রবের দান!

 

হাসান আল মাহমুদ-এর দুইটি ছড়া

বছর কেটে বছর

দিনের পরে দিন চলে যায়

মাসের পরে মাস

একটি বছর কেটেই গেলো

হায়রে সর্বনাশ!

 

ক্যামনে গেলো কোথায় গেলো

রাখছো কী কেউ খোঁজ

হারিয়ে গেলো। ফিরে পাওয়া

যায় না রে অবুঝ।

 

কী পেয়েছি কী নিয়েছি

বছর থেকে ভাই

জীবনখাতা শূন্যে ভরা

হিসাবটাও নাই।

 

বছর কেটে বছর আসে

নতুনে রূপ নিয়ে

আর যেনো না কাটে সময়

আলস্যে ডুব দিয়ে।

 

শীতের বুড়ি

শিশির মেখে

আসছে শীতের বুড়ি

বাজিয়ে নূপুর

বাজিয়ে হাতে তুড়ি!

 

আসছে দেখো

অই যে শীতের বুড়ি

হাতে কি তার

কুয়াশা রং চুড়ি!

 

শীতের বুড়ি

বছর ঘুরতেই আসে

প্রকৃতিদের

মুখে সবুজ হাসে।

 

শীত এলে

আবদুল লতিফ

 

কুয়াশায় ঢেকে যায়

গাছপালা বাড়িঘর

হিম হিম হাওয়া লেগে

কাঁপে সব থরথর।

 

শিশিরের টুপটাপ

ঝরে পড়া শব্দ

কানে ভেসে আসে যেই

চারদিক স্তব্ধ।

 

কাঁধে ঘটি বয়ে গাছি

ঝুপঝাপ ছুটে যায়

শিশু সব করে রব

মিঠে রোদ মেখে গায়।

 

শীত এলে শুরু হয়

পিঠাপুলি উৎসব

ভাপা, ম্যারা, চিতই, পুলি

আছে আরো কতোসব।

 

মন

ইবরাহীম আদহাম

 

মন কখনো মেঘ হয়ে যায়

মন কখনো ঘুড়ি,

মন কখনো পাখির ডাকে

যায় হয়ে যায় চুরি।

প্রজাপতি হলে এমন

ডানা মেলেই উড়ি।

 

মন কখনো চাঁদের দেশে

মন কখনো তারায়,

মন কখনো ভরদুপুরে

খেলার মাঠে হারায়।

বৃষ্টি এলেই ভিজতে এমন

হাত দুটো তার বাড়ায়।

 

মন কখনো ফুল হয়ে যায়

মন কখনো রবি,

মন কখনো শিল্পী হয়ে

আঁকে নানান ছবি।

উদাস উদাস হলে এমন

যায় হয়ে যায় কবি।

 

শীতের বুড়ি

আমীরুল ইসলাম ফুআদ

 

শীতের বুড়ি নিয়ে এলো

হিম কুয়াশার চাদর,

শীতের ভোরে আলতো ছুঁয়ে

করে ভীষণ আদর।

 

শীতের বুড়ি নিয়ে এলো

ঘাস শিশিরের ছন্দ,

সাথে আরো নিয়ে এলো

খেজুর রসের গন্ধ।

 

শীতের বুড়ি নিয়ে এলো

কুয়াশাময় আকাশ,

ছাড়েনি তো শীতের বুড়ি

হাঁড় কাঁপুনি বাতাস।

 

শীতের বুড়ি নিয়ে এলো

হরেক রকম পিঠা,

শীতের বুড়ি সঙ্গে করে

আনে পুলির মিঠা।

 

আগামী দিন

সাইদুর রহমান খান

একটি বছর চলে গেল

জীবন হতে আজ,

স্মৃতির আঁচল ধুয়ে নিল

আগামী দিনের সাজ।

 

কৃতজ্ঞ তাই রবের প্রতি

জীবিত থাকার দান!

তারই কৃপায় জ্বলছে বাতি

পুণ্য অফুরান।

 

মহান প্রভুর কৃতজ্ঞতা

শেষ হবে না কভু!

আগামী দিনের স্বপ্ন ছাতা

ভিজিয়ে দিও তবু!!

Share on facebook
ফেইসবুক
Share on twitter
টুইটার

Leave a Comment

অন্যান্য