সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

মোহনীয়, সুন্দর, স্নিগ্ধ শরৎ। শরৎ মানেই এক রূপময় পরিবেশ। ঋতুর সৌন্দর্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অনন্য। বৈচিত্রময় এমন ষড়ঋতু পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
বর্ষা শেষে শরতের নীল আকাশের মাঝে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ যেন ভেসে বেড়ায় মনের আনন্দে। মাঠে মাঠে কাশফুলের দোলা আর সবুজের সমারোহে শরৎকাল প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়৷
মিষ্টি করা স্নিগ্ধ ভোর, সাদা সাদা মেঘের আকাশ আমাদের মনকে করে বিমোহিত। ঋতুর রানী শরৎ! যেন হাসি কোলাহলময় ঋতু। দুষ্টু মিষ্টি লুকোচুরির এক নতুন দিগন্ত। এই রোদ এই বৃষ্টি, ঝিরিঝিরি বাতাস গান গেয়ে যায় এক সুন্দর দুপুর বা বিকেলের।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লিখেছেন-
‘এসো শারদ প্রাতের পথিক এসো শিউলি বিছানো পথে,
এসো ধুইয়া চরণ শিশিরে এসো অরুণ-কিরণ রথে।’
সৌন্দর্যের ঋতু শরৎ। শরৎ শুভ্রতার প্রতীক। সাদা কাশফুল, শিউলি, স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না, আলোছায়ার খেলা মিলেই এ ঋতু। এই ঋতুতেই প্রকৃতি সাজে নতুনরূপে। কাশফুলের শুভ্রতার পাশাপাশি শেফালি, মালতি, কামিনী, জুঁই, টগর মাথা উঁচিয়ে জানান দেয় রূপসী বাংলার অবারিত সৌন্দর্যের কথা।
শহরে পরিবেশে শরৎ খুঁজে পাবে না! শরৎ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম বাংলার মাঠে প্রান্তরে। শরত পাবে ফসলের ক্ষেত আর নদীর ধারে। দু’চোখ মেলে আকাশের দিকে তাকালে শরৎ তোমার চোখ ভরে দেবে মন ভরে দেবে। শরতের মেঘ যেন পেঁজাতুলো! খেলা করে হাওয়ার সাথে।
শরৎ বেঁচে থাকুক আমাদের প্রকৃতিতে! আমাদের হৃদয় ভরে যাক শরতের শুভ্রতায়। শরতের মতো সুন্দর হোক আমাদের মন।

Share on facebook
ফেইসবুক
Share on twitter
টুইটার

Leave a Comment

অন্যান্য