ঈঁদ উৎসব
যুবায়ের আল মাহমুদ
তুমুল খুশির বার্তা নিয়ে
চাঁদ উঠেছে ঐ
ছোট্ট খোকন আনন্দেতে
করছে যে হইচই
ছোট-বড়, ধনী-গরিব
নেই ভেদাভেদ আজ
সবাই মিলে একই সাথে
করবে নতুন সাজ
ঝগড়া-বিবাদ দূরে ঠেলে
চলতে মোরা চাই
কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে
ঈদগাহেতে যাই
হৃদয় মনের মিলনে আজ
ভুলে যাই ব্যথা
ছোট বড় সবাইকে বলি
খুশির সব কথা
ঈদের সেলামি
আবদুল্লাহ আল খায়ের
খোকাখুকু জোট বেঁধেছে
তুলবে ঈদের সেলামি
সালাম করে হেসে বলে
দাও টাকা নয় গেলামই।
সেজেগুজে ফুলপরী আর
প্রজাপতির মতোই রূপ
নয়ন জুড়ে হৃদয় ভরে
নিন্দুকেরাও আজকে চুপ।
ঘরেঘরে সেমাই পিঠে
গরুর গোশত মজার ঘ্রাণ
মাইকে বাজে ঈদের নাশিদ
শুনে সবার জুড়ায় প্রাণ।
চাঁদ উঠেছে
এইচ.এম. মাহমুদুল হাছান আজিজী
চাঁদ উঠেছে চাঁদ উঠেছে
নীল আকাশের গাঁয়ে,
খোকা-খুকির মন মননে
আনন্দ যায় বয়ে।
সকাল জেগে উঠে
করবে তারা স্নান,
নতুন জামা পেয়ে তাদের
খুশি হৃদয় প্রাণ।
দলবেঁধে বেড়াবে তারা
এদিক ওদিক ঘুরে,
রাস্তাঘাটে দেখলে মানুষ
সালাম দিবে জোরে।
রক্ষা করো প্রকৃতি
ইব্রাহিম হাসান হৃদয়
হচ্ছে দখল শহর পাড়ায়
খেলার যত মাঠ,
খাল নদী সব যাচ্ছে মরে
নেই যে খেয়া ঘাট।
গাছ কেটে ঐ দস্যুগুলো
করছে সাবাড় বন,
বিপন্ন তাই আজ প্রকৃতি
করছে খারাপ মন।
এই আকাশে যায় না দেখা
উড়তে পাখির ঝাঁক,
হারিয়ে গেছে ভোর বিহানে
মিষ্টি মধুর ডাক।
পালিয়ে গেল বনের রাজা
নেই যে পশুর দল,
মানব জাতি তাদের সাথে
করছে অনেক ছল।
দূষিত আজ বাতাস ভীষণ
যায় না নেয়া শ্বাস।
নিজের হাতে আমরা সবে
করছি জীবন নাশ।
দাও ফিরিয়ে এই প্রকৃতির
হারিয়ে ফেলা রূপ,
নইলে বিপদ দেখবে তুমি
হয়ে অবাক চুপ।
ঈদ এসেছে
মো: আসিফ খাঁন
ঈদ এসেছে রোজার শেষে
খুশির জোয়ার নিয়ে,
ঈদের নামাজ পড়বে লোকে
ঈদগাহ মাঠে গিয়ে।
ঈদ এসেছে ধনী গরীব
সবার মনন পেতে,
ঈদ আনন্দে খোকা-খুকি
উঠছে ভীষণ মেতে।
ঈদের দিনে সবার ঘরে
সেমাই পিঠার বাহার,
খুব সকালে গোসল সেরে
করবে সবাই আহার।
ঈদের নামাজ পড়তে যাবে
তাকবির ধ্বনি তুলে,
কাধ মিলিয়ে চলবে সবাই
সব ভেদাভেদ ভুলে।
ঈদ এসেছে
সাকিব মুহাম্মদ
রোজার শেষে চাঁদ উঠেছে
ওই আকাশের পানে
খোকা খুকি নাচছে সবাই
ঈদের গানে গানে।
রোজার শেষে ঈদ এসেছে
জাগছে মনে খুশি
নতুন কাপড় নিতে খুকি
বাইনা ধরছে বেশি।
ঈদের দিনে দামাল ছেলে
আনন্দ করে বেশ
সেই আনন্দ এত্ত বেশি
বলার নাই যে শেষ।
খোকার চুরি
আল- আমিন শরীফ
খোকা কই খোকা কই
বিড়াল খেলো গুঁড়ে মাখা খই
কোথাও খোকার নেই সাড়া
সব খানে হইচই।
হঠাৎ খোকার দেখা পেল
শোনা গেল ওই
খাটের নিচে বসে খোকা
খাচ্ছে রসগোল্লা দই।
খুশির বার্তা
ইমরান খান রাজ
চারিদিকে খুশির বার্তা
সবার মুখে হাসি,
ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে পরুক
সারাদেশে রাশি রাশি।
ঈদের দিনে ঈদ সালামি
সবার থেকে নিব,
গরীব-ধনী বিভেদ ভুলে
সব বাড়িতেই যাব।
জায়নামাজ আর টুপি পড়ে
নামাজ আদায় করব,
ভালোবাসা আর দেশপ্রেম দিয়ে
সোনার বাংলা গড়ব।
ভালোবাসার চাষ
এম. এ. শিকদার
দূর নিলীমায় ঐ দেখা যায়
শাওয়াল মাসের চাঁদ,
বইছে পাড়ায় ঈদের আমেজ
বইছে খুশির বাঁধ।
ধনী গরিব সবার মুখে
ফুটছে ঈদের হাসি,
ঈদের দিনে দুঃখ ভেসে
হবে সুখের রাশি।
আজকে থেকে সবাই মিলে
করব সুখে বাস,
ঈদের খুশি দিয়ে হউক
পথশিশুর ঈদ
এম. এ. শিকদার
তোমরা তো ভাই মনের সুখে
কিনো পোশাক কত!
ছেড়া জামা পরে আমার
দিন যে কাটে শত।
সেমাই সুজি ফিরনি খেয়ে
থাকো মহাসুখে,
কিন্ত রে ভাই খাদ্যের জন্য
কাঁদি আমি দুখে।
পথশিশু দেখে কি -ভাই
থাকব না খেয়ে?
তোমরা খাবে গোস্ত কোর্মা
দেখবো আমি চেয়ে।
বস্তিতে ঈদ মিঠে
ডা. আহমদ মুসা
আচ্ছা মাগো, এবার ঈদে হচ্ছে নতুন জামা?
ওকি! মা গো কাঁদছ কেন? ওসব লাগবে না মা।
নতুন জামার নতুন রঙের গন্ধটা খুব বাজে
পুরনোটা কেমন নরম! যায় জুড়িয়ে গা যে।
মা গো এবার ঈদের দিনে সেমাই হবে রাঁধা?
ও কী মাগো! আবার তোমার মুখটা হলো সাদা!
সেমাই আমার ভাল্লাগে না, শক্তি ওতে নেইও
ওর চেয়ে মা পান্তাভাতই অনেক উপাদেয়।
জামা-ই বলো, সেমাই বলো কিংবা সেমাই-তর
তোমার মুখের ওই হাসি মা সবার চেয়েও বড়।
ঈদ
মুস্তাফা ইসলাহী
কাল হবে ঈদ
চোখে নেই নিঁদ
গল্লেতে জেগে থাকি রাতিরে।
আলো যেই ফোটে
নদে যাই ছুটে
সাঁতারেতে হৈচৈ মাতিরে।
ঈদগার মাঠে
ইমামের পাঠে
সালাতের শেষে সবে দাঁড়িয়ে
বুকে টেনে ধরি
কোলাকুলি করি
ভালোবেসে হাত দেই বাড়িয়ে।
ভাই বোন মিশে
দুখ, ব্যথা পিষে
মন থেকে ঘৃণা, দ্বেষ তাড়িয়ে।
জামা, ঈদি পেয়ে
গোস, পিঠা খেয়ে
দল বেধেঁ গাঁয়ে যাই হারিয়ে।
নানা বাড়ি এসে
নবরঙ বেশে
কত কিছু কতভাবে যাচিরে।
কোনো কিছু পেয়ে
আদরেতে নেয়ে
তাক ধিনা ধিন তাক নাচিরে।
২.
ঈদ কেনো চাই
মুস্তাফা ইসলাহী
ঈদ কেনো চাই
ঈদে জাগি সারারাত
মেহেদীতে আঁকি হাত
আড্ডাতে করি মাত
একসাথে হাসি, গান গাই।
ঈদ কেনো চাই
কোনো বাধা দেয় না মা
পাই টাকা, ঈদি, জামা
মনে সুখ দেয় হামা
খেলি, নাচি ধিন তাই থাই।
ঈদ কেনো চাই
ঈদে হই পাখি, পরী
মনব্যাগে সুখ ভরি
স্বাধীনতা ভোগ করি
এর চেয়ে মজা আর নাই।
ঈদ কেনো চাই?
ইশকুলে তালা ঝুলে
বই, খাতা রাখি তুলে
পড়া আছে, যাই ভুলে
শিক্ষা পড়ায় না, তাই।
৩.
ঈদের খুশি
মুস্তাফা ইসলাহী
ঈদের খুশি জামা, জুতো
ঈদের খুশি সাজা
ঈদের খুশি ফিরনি, পায়েস
সেমাই, পিঠা ভাজা।
ঈদের খুশি গল্পগুজব
জেগে থাকা রাত
ঈদের খুশি নতুন টাকা
লাল মেহেদির হাত।
ঈদের খুশি চাঁদের হাসি
ঈদের খুশি দান
ঈদের খুশি “রমজানের ঐ
রোজার শেষে” র গান।
খোকার ঈদ
এম আর মাহফুজ
ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে
বাঁজছে খুশির বিণ।
তাই তো খোকা আনন্দে আজ
নাচছে তা ধিন ধিন।
ঈদের দিনে ঘুরবে খোকা
মন হবে রঙিন।
তাই তো খোকা ঠিক করেছে
ঘুরবে সারাদিন।
পড়ার সময় পড়বে খোকা,
পড়ছে দুই আর তিন।
তাই তো খোকা,গুনতে থাকে
ঈদের কতদিন ?
ঈদ আনন্দে খোকা আমার
গীত ধরেছে গীত।
আনন্দে আর উৎসবেতে
কাটবে খোকার ঈদ।
আল আমিন শরীফ
এসো ভোরের ঘুম ভাঙানি
এসো আমার ঘরে
খুকু সোনা ঘুমিয়ে আছে
ঘর উজালা করে।
তার ঘুমকে ভাঙতে হলে
যেতে হবে রূপকথার ঐ দেশে,
আনতে হবে সোনার কাঠি
সাত সাগর নদী ভেসে।
পরীর দেশের আনতে হবে
নীল পরীদের চুল,
চাঁদের বুড়ির হাড়িয়ে যাওয়া
খোঁপায় গাথা ফুল।
সর্পরাজের সর্প- মণি
আনতে হবে যাও এখুনি
দিন থাকিতে খুকুমণি
উঠবে জেগে ঘুমের ঘরে
বিশ্বজগত করবে আলো
খুকুর হাসির মায়া ভরে।
মোবারক ঈদ
জাবেদ বিন তৈয়ব
ঐ দেখা যায় আকাশ পানে
উঠল ঈদের চাঁদ,
ঈদ আনন্দে ছটফট করে
কখন যাবে রাত।
ঈদ আনন্দে কারো চোখে
পায় না কোনো নিদ,
সবার মুখে শোনা যায় আজ
ঈদ মোবারক ঈদ।
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক ঈদ,
ঈদের পয়গাম পেয়ে গাইছে
জগতবাসি গীত।
ভোরের আগে জেগে সবাই
পরে নতুন জামা,
রাব্বে কারিম কবুল করো
রোজার আমলনামা।
ঈদের খুশি যাক ছড়িয়ে
বাজুক খুশির বীণ,
ধনী-গরীব সবারই মুখ
রাখব না মলিন।
ঈদের নতুন চাঁদ
সাইফুল্লাহ ইবনে ইব্রাহিম
রোজার শেষে উঠল হেসে
ঈদের নতুন চাঁদ,
ঈদের খুশি ঘরে ঘরে
জাগব সবাই রাত।
অপেক্ষাতে রাত্রি কেটে
হবে যখন ভোর,
খুশি মনে সবাই তখন
খুলব ঘরের দোর।
গোসল সেরে পরব তখন
নতুন জামা গায়,
মাখব আতর গায়ে পরা
নতুন জামাটায়।
ঈদ-জামাতে যাব সবাই
হাসিখুশি দিল,
ধনী-গরিব নয় ভেদাভেদ
কী চমৎকার মিল!
খুশিতে একরোখা
নাজমুল হোসাইন খাঁন
চাঁদ উঠেছে আকাশ মাঝে
দেখো চারদিকে হৈচৈ,
চাঁদের সাথে তাঁরার মেলায়
আকসা সোনা ছুটছে ওই।
আসর থেকেই পথ চেয়ে
সন্ধ্যা হবে কখন
চাঁদের দেখা না হলে কি
ঠিক থাকে তার মন
আনন্দ উচ্চ রবে ঘর থেকে
বের হয়েছে খুকু-খোকা,
তাদের আর কে খুঁজে পায়
খুশিতে একরোখা।
আকসার সাথে অনেক শিশু
দলবেঁধে সব চলে,
চাঁদ এসেছে, চাঁদ হেসেছে
উচ্চ সুরে বলে।
ছড়া
কবিতার শিরোনাম- খুশিতে একরোখা
ঈদের শিক্ষা
মিশকাত উজ্জ্বল
সিয়াম সাধনার মাস শেষে
এলো খুশির ঈদ।
সেই খুশিতে খোকা-খুকুর
পুলকিত হৃদ।
রঙিন জামায় সাজবে ঈশা
ঘুরবে হেসে হেসে।
ঈদের নামায পড়বে ইহান
জায়নামাযে বসে।
নামায শেষে কোলাকুলি
করবে সবাই মিলে।
খুশি মনে সালাম দিবে
হিংসা-বিভেদ ভুলে।
যাকাত-ফিতরা গরীবের হক
নয় করুণা; ভিক্ষা।
ধনী-নির্ধন সবাই স্বজন—
এটাই ঈদের শিক্ষা।
খোকার ইদ
আসাদুজ্জামান খান মুকুল
খোকন সোনার ঘুম ভেঙেছে
ইদেরই গান গেয়ে,
সাজছে কত রঙে ঢঙে
মিষ্টি সেমাই খেয়ে।
দুচোখে তার মাখছে সুরমা
সুগন্ধি দেয় গায়ে,
খুশির নাচন তুলছে কত
নতুন জুতা পায়ে
পাঞ্জাবি আর টুপি পরায়
লাগছে কত ভালো,
আকাশ পাড়ে ফুটছে যেন
পূর্ণিমারই আলো!
ইদগাহেতে যাচ্ছে খোকা
বাবার হাতে ধরে,
ইদের নামাজ করবে আদায়
প্রভুর নামটি স্মরে।
নামাজ শেষে কোলাকুলি
করবে খোকা আজি,
ইদ মোবারক! ইদ মোবারক!
তুলবে ধ্বনি বাজি!
একফালি চাঁদ
সাদমান হাফিজ শুভ
কাস্তেবাঁকা
সোনায় আঁকা
একফালি চাঁদ হেসেছে,
হাসির ধারায়
পাড়ায় পাড়ায়
খুশির জোয়ার এসেছে।
খুশির চোটে
গেল রটে
ঈদের কুসুম ফুটেছে,
খুশবু ঘ্রাণে
মুমীন প্রাণে
আনন্দেরা ছুটেছে।
এ ঘর ও ঘর
বসছে আসর
মেন্দিতে কেউ সেজেছে,
ঈদ মুবারক
ঈদ মুবারক
মুখে-মুখে বেজেছে।
আলোয় ভরা ঈদের সকাল
আলমগীর কবির
নীল আকাশের আলোর দুয়ার
ফেরেশতারা খুললরে,
চাঁদ দেখে আজ খোকা খুকি
মেতেছে হৈ হুল্লোড়ে।
সবার মুখে হাসির ঝিলিক
দুঃখ ব্যথা ভুললরে,
মন নদীতে খুশি মাখা
চাঁদ যেন ঢেউ তুললরে!
মায়ের মুখে মধুর হাসি
হাসিটা অমূল্যরে?
আলোয় ভরা ঈদের সকাল
মেলে কি তার তুল্যরে?
খুশিগুলো ভাগ করে আজ
হয়েছি উৎফুল্লরে!
সাম্য সুখের বার্তা পেয়ে
মন আনন্দে দুললরে।
খুকুমণি
রেজাউল করিম রোমেল
খুকুমণি চাঁদের ক্ষণি
আজ ধরেছে বায়না,
রাগ করেছে গাল ফুলিয়ে
তাই-তো কথা কয়না।
রাগ কোরোনা রাগ কোরোনা
এই এনেছি কিনে,
ঘর বাড়িতে হয় না আলো
তোমার হাসি বিনে।
খুকু
রেজাউল করিম রোমেল
খুকু আমার চাঁদের কণা
মিষ্টি কথা বলে,
নতুন জামা পড়লে সেতো
হেলে দুলে চলে।
খুকুমণি যাবে এখন
বড় বাজারে,
দুধ ভাত খেয়ে খুকু
ঘুরতে যাবে রে।
পুষি বিড়াল
রেজাউল করিম রোমেল
আমার একটি বিড়াল আছে
নাম তার পুষি,
দুধ ভাত খেতে দিলে
সে খুব খুশি।
অল্প খাবার খেতে দিলে
ভরে না তার মন,
অনেক বড় মাছ খেতে চায়
একটু বলি শোন।
পুষি বিড়াল পুষি বিড়াল
দুষ্টুমি করতে মানা,
ইঁদুর গুলো কোথায় আছে
সেটা তার জানা।
পুষি বিড়াল পুষি বিড়াল
যাচ্ছো কোথায় বলো,
ইঁদুর গুলো ধরতে যাব
যাবে নাকি চলো।
ঈদ হলো মলিন
মাহদী হাসান ফরাজী
চারিদিকে ঈদের খুশি, রঙিন বাতির আলো!
তবুও কেন আমার চোখে লাগে ধূসর কালো?
কেমন যেন অচিন অচিন ঈদগাহের ওই পথ
ঈদ মানেই হাসি খুশি? আমার ভিন্ন মত।
ঈদের দিনে বাবা মানে স্বর্গীয় সব সুখ
সবার ছায়া হয়ে থাকেন, ঘুমায় না তাঁর চোখ
মা মানে সব খাবারে ভিন্ন রকম ঘ্রাণ
মায়াজড়ানো, মমতামাখানো আদরই তাঁর প্রাণ।
ঈদের দিনে বাবা বিনে জীবন মরুচর
হৃদয় জুড়ে আছড়ে পড়ে কালবৈশাখী ঝড়
মা হীনা দিনটি যেন আমাবস্যার রাত
সকল খুশি দুঃখ হয়ে করে যায় আঘাত।
গত ঈদে বাবা ছিল, এই ঈদে সে নাই
বাবার বিয়োগ ব্যথা মনে করে নিলো ঠাঁই
আমায় ছেড়ে তোমার যাওয়ার হলো কতদিন?
বাবা তুমি ছাড়া আমার ঈদ হলো মলিন।
খোকার ঈদ
মাসুমা সুলতানা হাসনাহেনা
রোজার শেষে এলো খুশির
ঈদুল ফিতর ঈদ
নতুন জামা কিনবে খোকা
তাই ধরেছে জিদ।
ঈদের দিনে খুশি মনে
ঈদগাহে সে যাবে
বাড়ি ফিরে মায়ের হাতে
মিষ্টি পায়েস খাবে।
গরীব দুঃখীর দিকে খোকা
বাড়িয়ে দেবে হাত
ছোট বড় সবার সাথে
করবে মোলাকাত।
নয় ভেদাভেদ গরীব দুখীর
পণ করেছে খোকা
হৃদয় মনে বয়ে চলে
খুশি থোকা থোকা।
চাঁদ উঠেছে
শাহজালাল সুজন
দূর গগনে উঠছে দেখো
বাঁকা ঈদের চাঁদ,
ঝিলিমিলি তারার সাথে
গল্প করবে রাত।
খুশির হাওয়া বইছে ফুলে
কি চমৎকার ঘ্রাণ,
জোনাকিরা আলো ছড়ায়
সাথে ঝিঁঝিঁ গান।
ঈদের জামা পেয়ে খুকির
ঘুমটা গেল দূরে,
তাই তো খুকি ছড়ার ছন্দে
উঠান মাতে সুরে।
নতুন জামা পরবে খুকি
ঈদগাহ্ তে যাবে,
স্বপ্ন দেখে চাঁদের আলোয়
সেমাই কোর্মা খাবে।
ঈদ
মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
শাওয়াল মাসের চাঁদ উঠিলে
ফোকলা দাঁতে হেসে
মুসলমানে সালাম জানায়
চাঁদকে ভালোবেসে।
এশার নামাজ পড়া হলে
শিশু-কিশোর নারী
হাত ভরে সব মেন্দি লাগায়
বসে সারি সারি।
আনন্দেতে রাত কাটায় ভাই
ঈদের খুশির তরে
রাত পোহালে খুশির ঈদ
আসবে ঘরে ঘরে।
সেমাই খেয়ে সুরমা দিয়ে
জুতো জামা পড়ে
ঈদ গাঁয়ে যায় শিশু-কিশোর
হাতটি বাবার ধরে।
ঈদের নামাজ পড়ার শেষে
ঈদ গাঁয়েরি মাঠে
কোলাকুলি করে সবাই
বাড়ির পানে হাটে।
পথশিশু আর ছিন্নমূলে
সেমাই কাপড় দিলে
বৈষম্যহীন দল থেকে ভাই
মুক্তি ওদের মিলে।।
সিয়াম শেষে
আব্দুল্লাহ আল মুহসিন
সিয়াম শেষে বছর ঘুরে
আসছে ঈদের দিন
সিয়াম শেষে বছর ঘুরে
হাসছে নতুন দিন।
সিয়াম শেষে আসছে হেসে
নতুন এক ভোর
সিয়াম শেষে আসছে ভেসে
তাকবির ধ্বনি সুর।
সিয়াম শেষে আসছে দেখো
আনন্দ আর হাসি
সিয়াম শেষে নাজাত পেয়ে
আনন্দিত এই বিশ্ববাসী।
ঈদের দিনে
ফেরদৌস জামান খোকন
বছর ঘুরে ঈদের দিনে
খুশির লহর বহে,
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
সবাই জানি কহে।
এক কাতারে নামাজ পড়ে
ধনী গরিব সবাই,
মনের কলুষ রাখতে দূরে
করে কলুষ জবাই।
সাধ্য মতো দানের হস্ত
ঈদের দিনে করে,
ঈদের খুশি ছড়িয়ে যাক
প্রতি মুসলিম ঘরে।
নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে
সেমাই পায়েস খাবে,
স্বজন বন্ধু সবাই সবার
বাড়ি জানি যাবে।
ঈদের দিনে প্রভুর কাছে
সবাই করব দোয়া,
সারা মাসের ইবাদতটা
যায় না কভু খোয়া।