কুরআন ভাবনা

কুরআন ভাবনা

আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, (তোমরা) উপদেশ গ্রহণ করবে বলে! আচ্ছা, আছে কি কোনো উপদেশ গ্রহণকারী?
এ আয়াতের তাৎপর্য অনেক গভীর। সূরা: কামার-১৮
কুরআন শেখা,
কুরআন বোঝা,
কুরআন নিয়ে গবেষণা করা,
কুরআন চর্চায় নিবেদিত হওয়া,
বড়দের সামনে কুরআনকে তুলে ধরা,
যুবকদের সামনে কুরআনকে তুলে ধরা,
কিশোর তরুণদের সামনে কুরআনকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা,
সর্বোপরি ছোট্ট কিশোর বন্ধুদের জন্য কুরআনকে মজা করে তুলে ধরা এবং তাদের সবাইকে কুরআনের খুব কাছে নিয়ে আসা-
এ-সবকিছুরই আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এই আয়াত!
কিন্তু আমরা যেনো কেমন!
ঘুমুলে জাগতে চাই না!
জাগতে কোনো চেতনাও অনুভব করি না!
চেতনা অর্জনের জন্যে কোনো সাধনাও করি না!
সাধনার উচ্চহেরায় আরোহণের কোনো সংকল্প … কোনো স্বপ্নও আমাদেরকে তাড়িত করে না!
আমরা যেনো কেমন!
এ-কী ঘুম পেয়েছে আমাদের!
আমরা কি জাগবো না? জাগবো কি?
সূর্য ওঠার আগে?
ভোর বিহানের নির্মল পরিবেশে বসে, পাখপাখালির কলরবের সাথে সুর মিলিয়ে কুরআন চর্চায় নিবেদিত হতে?
নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে? কুরআনময় করে গড়ে তুলতে? কুরআনের অনেক অনেক কাছে নিয়ে আসতে?…

কুরআন জীবনের পরতে পরতে
দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির পথ, আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত-আল কুরআন
দীর্ঘ ২৩ বছরে জিবরাইল আ.-এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী সা.-এর উপর নাজিল বা অবতীর্ণ হয়েছে।
কুরআন মানবজাতির চির-কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। পবিত্র কুরআনকে সর্বকালের, সর্বদেশের, সর্বলোকের জীবনবিধান ও মুক্তির সনদ হিসেবে আল্লাহ তা’আলা ওহীর মাধ্যমে নাজিল করেছেন।
পবিত্র কুরআন নাজিলের ছয়মাস আগে থেকেই আল্লাহ তা’আলা উনার পেয়ারে হাবিব হযরত মুহম্মদ সা.-কে স্বপ্ন দেখাতেন। তাঁকে প্রস্তুত করার জন্য।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. হতে বর্ণিত আছে, প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সা.-এর উপর ওহী নাজিলের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মাধ্যমে। তিনি স্বপ্নে যা দেখতেন তা দিনের আলোর মতো তাঁর জীবনে প্রতিভাত হতো।
কুরআন নাজিলের স্থান হেরাগুহা- যে গুহায় প্রথম কুরআন নাজিল হয়। জিবরাইল আ. রাসূল সা.-এর সামনে আসেন। অবতীর্ণ হয় ‘ইকরা বি-ইসমি রব্বিকাল্লাজি খালাক’ পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।

জিবরাইল আ. হযরত মুহম্মদ সা.-এর কাছে এসে গভীর কণ্ঠে তাঁকে বলেন ‘ইকরা‘ পড়ুন। প্রিয় নবী সা. বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। উদ্বেলিত কণ্ঠে তাকে বললেন- ‘আমি তো পড়তে জানি না’।
জিবরাইল আ. তখন হুজুরে পাক হযরত মুহম্মদ সা.-কে বুকে চেপে ধরে আবার বলেন, পড়ুন। তৃতীয় বার যখন জিবরাইল আ. তাঁকে বুকে আলিংগন করে ছেড়ে দিয়ে বলেন, পড়ুন!
তখন রাসূল সা. ওহীর প্রথম পাঁচটি আয়াত [পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। -সূরা আলাক্ব: প্রথম পাঁচ (১-৫) আয়াত।] পড়লেন। তারপর সাথ সাথে হযরত জীবরাঈল আ. সেখান থেকে চলে গেলেন।

 

Share on facebook
ফেইসবুক
Share on twitter
টুইটার

Leave a Comment

অন্যান্য