বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। রিমঝিম বৃষ্টি। লাগাতার বৃষ্টি। জানালার পাশে বসা আমি। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু ইটপাটকেলের বিশালাকৃতির দালান ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। একটু দূরে ঘন সবুজ দূর্বাঘাসে ঢাকা বিশাল মাঠ। সেই মাঠে ছেলেরা ফুটবল খেলছে। তাদের খেলা দেখে খেলতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব। কিন্তু ভয় হয়, যদি হঠাৎ জ্বর আসে। ছোটবেলা এসবের তোয়াক্কা করতাম না। বৃষ্টি হলেই বল নিয়ে মাঠে ছুট।
মাঠের চারদিক ঘিরে রয়েছে বড় বড় গাছ। আষাঢ়ের বৃষ্টি তাদের ধুয়ে দিচ্ছে। ধুয়ে দিচ্ছে মাঠ-ঘাট, প্রান্তর। কিছু গাছের ডাল নুইয়েও পড়ছে।
ছাতা মাথায় ছুটে চলছে পথিক। কেউ ভিজে ফিরছে তাদের বাড়িতে। জামা-কাপড় ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে গেছে। শুধু ছোট একখানা পলিথিন মাথায় পেঁচিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই রিকশাচালক ছুটে চলেছে। কেউ পুরো শরীরে বড় পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়েছে। কেউবা আবার রেইন কোটও পরেছে। বাইকাররা ছুটছে খুব দ্রুত।
বর্ষার এ চিরচেনা অবারিত রূপ কে না উপভোগ করতে চায়! বসে নেই গাছগাছালির ডালে বসে থাকা পাখিরাও। ভিজতে দেখলাম তিনটি কাককে। বৃষ্টিতে ভিজছে। এ ডাল থেকে ও ডালে মাঝে মধ্যে উড়াল দিচ্ছে। ভিজে পুরো ছপছপে হয়ে গেছে। আবার লম্বা ঠোঁট দিয়ে শরীরটাকে এদিক-ওদিক নেড়েচেড়ে ঝেরেও নিচ্ছে। কি অপরূপ!! কি সুন্দর দৃশ্য, তাই না?
বর্ষার পানি পেয়ে যেন সবকিছু সজীব হয়ে উঠেছেÑ গাছপালা, তরুলতা, পত্র-পল্লব সবকিছু।
চিরচেনা বর্ষার অবারিত রূপ সৌন্দর্য আমায় মুগ্ধ করেছে। সত্যিই তো কতই না সুন্দর! কতই না অপরূপ। যা বলে লিখে শেষ করার নয়।