মধুমাস। মধুময় সময়। গাছে গাছে আম জাম লিচু হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পাকা শুরু করেছে কাঁঠালসহ নানা রকম ফল। এমন সময় প্রতি বছরই আসে। আনন্দমুখর সময়। প্রিয় সময়। ভালো লাগার সময়। ফলমূল কে না পছন্দ করে। আর তা যদি হয় রাজশাহীর আম! লিচু কিংবা গাজীপুরের কাঁঠাল, তো কথাই নেই- ফল খাওয়ার আনন্দে মন ভরে যায়।
যদিও বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় কমবেশি আম জাম কাঁঠাল আর লিচুর গাছ আছে, তবুও রাজশাহীতে যেসব ফল হয়, সেই ফলের স্বাদ একটু ভিন্ন রকম হয়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এক অপূর্ব দান আমাদের এই ফল মূলের বাগান। স্বাদে-ঘ্রাণে ভরা অফুরন্ত নেয়ামত।
ফলে ফুলে আর ফসলে ভরা বাংলাদেশ পৃথিবীর এক অনন্য দেশ। তুলনাহীন এক রূপসী দেশ। হাজারো নেয়ামতের চাঁদরে জড়ানো আমাদের প্রিয় দেশ। এমন একটি দেশ পেয়ে আমরা অন্তর থেকে শুকরিয়া আদায় করি আল্লাহ তায়ালার- যিনি আমাদের এতো এতো নেয়ামত দান করেছেন। ফলে আছে প্রচুর পুষ্টি, নানান রকম ভিটামিন। আমরা এসময় অবশ্যই নিয়মিত সাধ্য মতো ফল খাবো। আর যারা গরিব এবং আমাদের প্রতিবেশি, তাদেরকেও ফল খাওয়বো। ইনশাআল্লাহ। সে সঙ্গে প্রার্থনা করবো, আল্লাহ তায়ালা যেন চিরদিন তাঁর এই দান অব্যাহত রাখেন।
এখন কিন্তু সময় কাল-বৈশাখির। ঝড় ও বৃষ্টির সময়। বৃষ্টি সবারই ভালো লাগে। শহরের বৃষ্টির চেয়ে গ্রামের বৃষ্টি বেশি উপভোগ্য। টুপটুপ করে টিনের চালে পড়ে। ঝিরিঝিরি ছন্দে নেচে যায়। জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখার আনন্দ-গ্রাম আর গ্রামের মানুষরাই বোঝে।বৃষ্টির ছন্দে তন্ময় হন কবি সাহিত্যিকগণ। মন খুলে লিখেন ছড়া-কবিতা। মেঘের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে করতে লিখে ফেলেন কতশত লেখা। তোমরা লিখতে পারো বৃষ্টির ছড়া-বৃষ্টির কবিতা আর বৃষ্টি নিয়ে সুন্দর কোনো গল্প।
বাংলাদেশের প্রকৃতি আকাশের মতো উদার। নীলাভ আকাশের রঙের মতো সুন্দর। অপূর্ব নিপুণ। আমাদের ঋতুর মতো ঋতু নেই পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে। অপূর্ব সুন্দর আমাদের এই বাংলাদেশ। যেন শিল্পীর তুলির আঁচড়ে আঁকা মন কেড়ে নেয়া সুন্দর এক ছবি।