কদমফুল
মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ
কদমফুল ডালে ডালে
শোভা বর্ষাকালে..
কদমফুল গন্ধ ছড়ায়
বৃষ্টির তালে তালে।
আমি মুগ্ধ, দু`চোখ বুজি
গন্ধ শুঁকে শুঁকে..
আষাঢ় মাস তাই বৃষ্টি দিনে
কী সুখ পাই যে বুকে!
সকাল বেলা কদমফুলে
প্রজাপতি ওড়ে,
দস্যি ছেলের কোমল মনে
ফুলের নেশা ঘোরে।
কদমফুলের থোকাগুলো
তাকেই যেন ডাকে..
আষাঢ় মাসের এমন দিনে
সে কী ঘরে থাকে?
মেঘ ডাকছে
ইদ্রিস মণ্ডল
মেঘ ডাকছে কড়াৎ কড়
বইছে হাওয়া সড়াৎ সড়
মাথার উপর চোখটা তুলে
দেখে অবাক হই
আকাশ জুড়ে কালো মেঘের
দুরন্ত হইচই।
মেঘমালারা বৃষ্টি হওয়ার
গান করে দেয় পেশ
বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর
ভিজছে সারা দেশ।
মেঘ ডাকছে বৃষ্টি পড়ে
ঝড়ো বাতাস বয়,
দিচ্ছে সাড়া বর্ষা ঋতু
তাইতো পানি হয়।
আম কুড়াতে যাবে
রাজীব হাসান
আম কুড়াতে যাবে নাকি
পাকা পাকা আম
আমের সাথে আরও পাবে
কালো কালো জাম।
পাকা আমের মধুর ঘ্রাণে
মাতাল করে যায়
এমন মধুর ফলটা যে তাই
আবার খেতে চায়।
গাছের নিচে বসে থেকে
ভাবি কেমনে পাই,
হলুদ রঙের পাকা আমটা
আমি খেতে চাই।
গাছের নিচে পড়ে থাকা
আমে পড়ে নজর,
কুড়িয়ে আম দিলাম দৌড়
থাকলো না ওজর।
তাঁর ওপরে সালাম
নাঈমুল হাসান তানযীম
এই পৃথিবী যখন ছিল
অন্ধকারে মত্ত,
বর্বরতায় ডুবে ছিল
ছিল না ন্যায়-সত্য।
ঠিক তখুনি এলেন ধরায়
প্রাণের প্রিয় নবী,
খুশির স্রোতে ভাসলো ধরা
চন্দ্র তারা রবি।
কেটে গেল ঘোর রজনী
রাতের আঁধার কালো,
উঠলো হেসে রঙিন প্রভাত
ধরণী চমকালো।
পাপীতাপী মানুষ হলো
সোনার চেয়েও খাঁটি,
তাঁর উছিলায় মরুর ভূমি
হলো শ্রেষ্ঠ মাটি।
নাযিল হলো তাঁর ওপরে
খোদার মহান কালাম,
প্রিয়নবী তাঁহার প্রতি
লক্ষ কোটি সালাম।
মরুর দুলাল
জাকারিয়া আব্দুল্লাহ্
দম্ভভরে মাথা তুলে
আগাছা আর জংলিফুলে
দখল করে নিয়েছিল
আরব নামের ফুলবাগান,
তখন সেটি শুধুই ছিল
কাঁটাভরা কুলবাগান।
সেসব গাছে আসতো না ফুল
কাঁটা ছাড়া দিতো না কুল
ইচ্ছে হলেই হুল ফুটিয়ে
হাসতো পরের দুখ দেখে,
পরের মুখে দেখলে হাসি
তাদের যেত সুখ বেঁকে।
সেই বাগানে হঠাৎ করে
রবিউলের শুভ্র ভোরে
চাঁদের মতো মুখ বাঁকিয়ে
হাসলো একটি গন্ধরাজ,
তাঁর হাসিতে আলোকিত
হলো কালো অন্ধ রাজ।
মন্দ নদে পড়লো ভাটা
ধ্বংস হলো বিষের কাঁটা
কাঁটার বদল পাপড়ি দিয়ে
উঠলো গড়ে ফুলের বাগ,
সেই বাগানের সুবাস এসে
ধ্বংস করে ভুলের ভাগ।
জানতে কি চাও কোন সে ফুলে
গন্ধরাজের মতোন দুলে
তাড়িয়ে দিয়ে জাহেলিয়্যাত
আনলো ধরায় সুখের ক্ষণ,
তিনি হলেন মরুর দুলাল
মা আমেনার বুকের ধন।