স্টার্টিং স্যালারি
ব্যক্তিগত গাড়ির চালক পদে নিয়োগের জন্য একজনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন দবির সাহেব।
লোকটির সঙ্গে কথাটথা বলে তার ভালোই লাগল। তাই বললেন, ‘তোমার স্টার্টিং স্যালারি ৮ হাজার টাকা। চলবে তো?’
চালক বলল, ‘ধন্যবাদ, স্যার। স্টার্টিং স্যালারি একদম ঠিক আছে। কিন্তু স্যার, ড্রাইভিং স্যালারিটা কত, সেটা তো বললেন না।’
চোরের শিক্ষা
গভীর রাত। ঘরে হারমোনিয়ামের আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে গেল গৃহকর্তার। তিনি আবার বাংলার কড়া শিক্ষক। ঘুমের ঘোরেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ওখানে?’
চোর বলল, ‘আমি হাবু চোরা।’
গৃহকর্তা এবার উঠে বসলেন। রাগে কটমটিয়ে বললেন, ‘চুরি করবি তো হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিস কেন?’
চোরের মুখ কাচুমাচু, ‘চুরি করতে এসেছিলাম। আমাদের সর্দার বলে দিয়েছেন, “যা নিবি সব বাজিয়ে দেখবি।” তাই হারমোনিয়ামটা একটু বাজিয়ে দেখলাম আরকি!’
১০০ টাকা বকশিশ
এক লোক নামকরা রেস্তোরাঁয় খাওয়া শেষে বেরোনোর পর বেয়ারাকে ১০০ টাকা বকশিশ দিলো। বেয়ারা সবিনয়ে বলল, ‘এখানে ১০০ টাকা দেয়া মানে আমাকে অপমান করা।’
লোকটা বলল, ‘তো, কত দিলে তুমি খুশি হবে?’
বেয়ারার মুখে হাসি, ‘মানে, আরও ১০০ টাকা হলে ভালো হতো।’
লোকটা মুখ কালো করে বলল, ‘দুঃখিত, তোমাকে দুবার অপমান করার কথা ভাবতেই পারছি না।’
চিকেন ফ্রাই
মুরগির ছানা: মা, মানুষ বাচ্চাকাচ্চাদের কী সুন্দর নাম রাখে, কিন্তু আমাদের নাম নেই কেন?
মা মুরগি: আমাদেরও নাম রাখা হয়, তবে মরার পর।
মুরগির ছানা: কী নাম রাখা হয়?
মা মুরগি: চিকেন ফ্রাই, চিকেন গ্রিল, চিকেন তন্দুরি…। আর যে মুরগি এমনি এমনি মরে যায়, তার নাম দেওয়া হয় মরা মুরগি।
সংগ্রহে: মায়মুনা আক্তার
তাতে তোমার কী
হোজ্জা একদিন বাজার থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হোজ্জার সঙ্গে তার পড়শির দেখা হলো। পড়শি হোজ্জাকে বলল, ‘হোজ্জা, জমিদারের পেয়াদাকে দেখলাম, বিরাট এক পাত্রভর্তি হালুয়া নিয়ে এ পথ দিয়ে গেল।’
হোজ্জা জবাবে বললেন, ‘তাতে আমার কী?’
পড়শি বলল, ‘না মানে, পেয়াদাকে দেখলাম তোমার দরজার দিকেই গেল।’
হোজ্জা আরও গম্ভীরভাবে জবাব দিলেন, ‘তাতে তোমার কী?’
কত দূর সরতে হবে
রাতে হোজ্জা বিবির সাথে খাটে শোয়া ছিলেন। বিবি হাত-পা ছড়িয়ে আরামের সঙ্গে শোয়ার জন্য হোজ্জাকে একটু দূরে যেতে বললেন। হোজ্জা খাট থেকে নেমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সোজা হাঁটা ধরলেন।
পথে এক পড়শির সঙ্গে দেখা হলে পড়শি জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার হোজ্জা, এত রাতে কোথায় চললে?’
হোজ্জা জবাব দিলেন, ‘তা আমি কী করে জানবো। তুমি বরং আমার বিবির কাছ থেকে এ প্রশ্নের উত্তর জেনে আসো, আর আমাকে জানাও যে আমাকে আর কত দূর সরতে হবে।’
কারণ, আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন
অবসর সময়ে হোজ্জা গ্রামে হেকিমি চিকিৎসা করতেন। একদিন এক কিপটে বুড়ো হোজ্জার কাছে এসে বলল, ‘আমি উঠলে বসতে পারি না আর বসলে উঠে দাঁড়াতে পারি না।’
‘কারণ, আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন,’ হোজ্জা বললেন।
‘আমার সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাঝেসাঝে খিঁচুনি ধরে।’
‘কারণ, আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন,’ হোজ্জা বললেন।
‘কোনো খাবার খেলেই আমার বদহজম হয়।’
‘এরও কারণ হলো আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন,’ হোজ্জা জবাব দিলেন।
বুড়ো রেগে আগুন হয়ে বলল, ‘হোজ্জা, তুমি কেমন হেকিম হে? একই উত্তর বারবার বলে যাচ্ছো?’
‘আপনি যে এত রেগে গেছেন, তারও কারণ হলো আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন,’ হোজ্জা শান্তভাবে জবাব দিলেন।
সংগ্রহে: আব্দুল্লাহ খান