হৃদয়ে থাকুক কুরআনের কথা
সুন্দর পরিচ্ছন্ন জীবন সবাই চায়। কিন্তু সুন্দর পথে হাঁটে না কেউ! সুন্দর পথ হলো কুরআনের পথ। কুরআন শিখায় সব কথা। কুরআন দেখায় আলোর পথ। তুমি কুরআন পড়ো! চেষ্টা করো বুঝতেÑ সব পাবে।
-কথা বলার আওয়াজ আর কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ (সুরা- লোকমান : আয়াত ১৯)
-কথা বলার ধরন
‘মানুষের সঙ্গে সুন্দর ও উত্তম তথা প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলো।’ (সুরা- বাকারা : আয়াত ৮৩)
‘যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, সে সম্পর্কে কথা না বলা অর্থাৎ জ্ঞানহীন অসাড় কথা না বলা।’ (সুরা- বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩৬)
কুরআনের যত স্থানেই কথা বলার বর্ণনা এসেছে, সব স্থানেই সঙ্গত ন্যায় কথা বলার কথা বলা হয়েছে।
-চলাফেরা
‘পৃথিবীতে দম্ভ ভরে (অহংকারের সঙ্গে) পদচারণা করো না। নিশ্চয় তুমি তো ভূপৃষ্ঠকে কখনই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না।’ (সুরা- বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩৭)
নকীব বন্ধুরা! দেখলেÑ কুরআন কত সুন্দর করে সুন্দরের শিক্ষা দেয়! এভাবেই চলো জীবন আলোকিত হবে।
হাদীস হোক
জীবন পাথেয়
আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে নীরব থাকে সে মুক্তি পায়।’ -সুনানে তিরমিজি, হাদীস নং: ২৫০১
এ হাদীসের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি যখন মন্দ ও অনর্থক কথা থেকে নিজেকে বিরত রাখবে, তখন সে ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যাবে। আমাদের দেখা একটি বাস্তবতা হচ্ছে, যখন কেউ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বেশি বেশি কথা বলে, তখন সে যে কেবল অনর্থক কথাই বলে বেড়ায় এমন নয়। বরং সে অনেক ধরনের অন্যায়-অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে। যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষের গিবত-পরনিন্দায় লিপ্ত হয় বেশি। এ কাজটি সামাজিকভাবে চরম নিন্দিত ও শরিয়তের দৃষ্টিতে এক জঘন্য অন্যায়।
যারা বেশি কথা বলে, কখনও মিথ্যা-অশ্লীলতার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে তারা। অনেক ক্ষেত্রেই অসংলগ্ন ও অসতর্ক কথায় তারা লিপ্ত হয়। ফলে ঝগড়া-বিবাদও সৃষ্টি হয় কখনও কখনও। পরিণতিতে বিঘ্নিত হয় সামাজিক শান্তি-শৃংখলা ও সম্প্রীতি।
কম কথা বলা বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানের পরিচায়ক। যে কথা কম বলে, সে অনেক ধরনের অনর্থক বিষয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। গিবত-পরনিন্দা-মিথ্যা-অশ্লীল কথাবার্তা ইত্যাদি নানা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকাও তার পক্ষে সম্ভব হয়। এ জন্যেই তো যারা কথা কম বলে হাদীস শরিফে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে।