বন্ধু-দিলফুজা তাশপুলাতোভা, অনুবাদ: হোসেমন মাহমুদ

বন্ধু-দিলফুজা তাশপুলাতোভা, অনুবাদ: হোসেমন মাহমুদ

অনেক দিন আগে উজবেকিস্তানে একটি লোক বাস করতো। তার নাম ছিল বেগ। সংসারে ছিল সে আর তার স্ত্রী। আর ছিল একটি বুদ্ধিমান ও বিশ্বস্ত কুকুর। ভারি কাজের ছিল সেটি। বাড়ি পাহারার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও সে প্রতিদিন সকালে মনিবের জন্য বুনো খরগোশ আর তিতির ধরে আনতো। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কুকুরটিকে খুব ভালোবাসতো। তারা কুকুরটির নাম দিয়েছিল বাঘা। কোনো সময় সে বাড়িতে না থাকলেও গলা উঁচু করে নাম ধরে ডাক দিলেই দৌড়ে চলে আসতো।
একদিন বাঘা রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে এক বাড়ির ছায়ায় একটি সংকর জাতের কুকুরকে শুয়ে থাকতে দেখলো। বোঝাই যাচ্ছিল যে কুকুরটি অনাহারের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাঘা তার কাছে গিয়ে বলল- কি হে আলসের রাজা! আর কত শুয়ে থাকবে? আমার সাথে একবার চলো। দেখবে আমার মনিব আমার জন্য কি করেছেন। তিনি আমার থাকার জন্য সুন্দর একটি ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। শীতের রাতে কি চমৎকার গরম হয়ে থাকে ঘরটা! আমার খাবার জন্য আলাদা পাত্রও দিয়েছেন। তিনি এত ভালো লোক যে কখনো আমাকে তাড়িয়ে দেন না। তুমি আমার সাথে যেতে পারো। গেলে সুখে থাকবে।
সংকর কুকুরটি বাঘার কথায় রাজি হয়ে যায়। তারা বাড়িতে পৌঁছলে বেগ নতুন মেহমানকে দেখে খুশিই হয়। নতুন কুকুরটির জন্যও সে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর থেকে দু’ কুকুর মিলে প্রতিদিন মনিবের জন্য বুনো খরগোশ ও তিতির শিকার করে আনতে থাকে।
কুকুর দুটি শিকার করতে একদিন এক জঙ্গলে গেল। তারা একটি শিয়ালকে শুয়ে থাকতে দেখলো। সে একসাথে দুটি ডাকাবুকো কুকুরকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গেল। ব্যাপরটা লক্ষ্য করে বাঘা তাকে বলল-
: ভয় পেয়ো না। আমরা হিংস্র নই। তা, তুমি এখানে কি করছো?
শিয়াল বলল, গত ক’দিন থেকে অনাহারে আছি। এখন উঠে দাঁড়াবার মতো শক্তিও নেই।
সংকর কুকুরটি তাকে বলল, তোমার যখন এ রকম দুরবস্থা, তখন বাঁচতে চাইলে আমাদের সাথে চলো। আমাদের মনিবের নাম বেগ। খুব ভালো মানুষ তিনি। তাঁর স্ত্রীও অত্যন্ত দয়াবতী। আমরা তাদের শিকার ধরে এনে দেই। তারা আমাদের ভালো খাবার দেন, যত্ন করেন।
শিয়াল তাদের কথায় রাজি হয়ে যায়। তিনজন বেগের বাড়িতে পৌঁছে। বেগ শিয়ালকে দেখে খুশি হয়। তার জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে। প্রতিদিন তারা শিকার করে আনে। বেগের স্ত্রী সবার জন্য ভালো খাবার তৈরি করে দেয়।
কিছুদিন পর শিকার করার জন্য তিনজন এক বনে উপস্থিত হয়। সেখানে এক সিংহ ও বাঘের সাথে তাদের দেখা হয়। সিংহ ও বাঘ তখনো কোনো শিকার ধরতে পারেনি। বাঘা দুজনকে বলে, আলাদা আলাদা ভাবে শিকার না করে সবাই মিলে একত্রে শিকার করাটাই ভালো হবে। তাহলে দলও শক্তিশালী হবে আবার শিকারও বেশি মিলবে। সে বাঘ ও সিংহকে বেগের বাড়ি গিয়ে সবাই একসাথে থাকার কথা বলে। বাঘ ও সিংহ তাতে রাজি হয়ে যায়। বেগও বাঘ এবং সিংহকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়। সে তাদের জন্যও ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে।
পাঁচজনের দলটি প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ শিকার ধরে আনে। বেগের স্ত্রী তাদের ভালো ও সুস্বাদু খাবার তৈরি করে দেয়। বেশ সুখেই সবার দিন কাটতে থাকে।
২.
হঠাৎ করেই বেগের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভালো মতো চিকিৎসা করার আগেই সে মারা যায়। স্ত্রীর শোকে বেগ ভীষণ কাতর হয়ে পড়ে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেয় সে। দুটি কুকুর, শিয়াল, বাঘ ও সিংহ তার জন্য চিন্তিত হয়ে পড়ে। কারণ সত্যিকার ভালো মানুষ বলে বেগকে তারাও অন্তর থেকেই ভালোবাসতো। বৈঠকে বসে তারা। অনেক আলোচনার পর স্থির হয় যে তাদের মনিব বেগের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে দিতে হবে। বাঘা শিয়ালকে বলে- তুমি কাল সকালে শহরে যাবে। সেখানে সবচেয়ে বড় সোনার দোকানে গিয়ে সেরা অলংকারগুলো কিনবে। তোমাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সাথে বাঘ যাবে। অলংকার কেনার পর সেগুলো তাকে দেবে। সে এখানে নিয়ে আসবে।
সবাই বাঘার কথায় সমর্থন জানায়।
শিয়াল ও বাঘ পরদিন সকালে শহরে রওনা হয়। দামি সব অলংকার কিনে ভালোভাবেই তারা ফিরে আসে। এবার পাত্রী নিয়ে আলেচনা শুরু হয়। শিয়াল জানায়, পাশের রাজ্যের বাদশাহ্র মেয়ে যেমন রূপবতী তেমনি গুণবতী। তার সাথে বেগের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ঘটক পাঠানো যেতে পারে।
বাঘা বলে, তাহলে ওই বাদশাহ্র মেয়ের সাথেই আমাদের মনিবের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কাজটি মোটেই সহজ হবে না। আমাদের মনিব সম্ভ্রান্ত লোক, কিন্তু বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি নন। সুতরাং বাদশাহ্ তার সাথে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। তাই আমাদের অন্য বুদ্ধি করতে হবে।
আবার পরামর্শে বসে সবাই। বহু চিন্তা-ভাবনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে শিয়াল আর বাঘ যাবে বাদশাহ্র কন্যার কাছে। সুযোগ বুঝে নিয়ে আসবে তাকে। কখন কিভাবে কি করতে হবে, বিশদভাবে তাদের বুঝিয়ে দেয় বাঘা ও অন্যরা। সব কিছু ভালোভাবে বুঝে নেয় তারা।

রাতের আঁধারে বাদশাহ্র প্রাসাদের যেদিকে তার কন্যা থাকে, সেখানে গিয়ে পৌঁছে শিয়াল আর বাঘ। চারদিক নীরব হয়ে এলে শিয়াল গিয়ে বাদশাহ্র মেয়ের কক্ষের দরজায় টোকা দিয়ে লুকিয়ে পড়ে। পরিচারিকা এসে দরজা খোলে। কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরে যায়। একটু পর শিয়াল আবার টোকা দেয়। পরিচারিকা এসে আবারো দরজা খোলে। কিন্তু এবারো কাউকে দেখতে না পেয়ে রাগে গজগজ করতে থাকে। একটু পর আবারো দরজায় টোকা দেয় শিয়াল। এবার পরিচারিকাকে অন্য কাজে যেতে বলে বাদশাহ্র মেয়ে নিজেই উঠে এসে দরজা খোলে। কাউকে দেখতে পায় না সে। এদিকে শিয়াল ও বাঘ মিলে চট করে তাকে কাবু করে সাথে আনা রেশমী বস্তায় ভরে ফেলে। বাঘ বস্তাটা পিঠে নিয়ে দৌড়াতে শুরু করে।
বেগ বাদশাহ্র মেয়েকে দেখে ভারি খুশি হয়। তবে তাকে এভাবে নিয়ে আসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তার কাছে ক্ষমা চায়। বেগের বিনয়ী ব্যবহারে বাদশাহ্র মেয়ে খুশি হয়। বেগের প্রতি দুই কুকুর, শিয়াল, বাঘ ও সিংহের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তাকে মুগ্ধ করে। আরো কয়েকদিন পর বেগ তাকে বিয়ের কথা বললে বাদশাহ্র মেয়ে তাতে সম্মতি জানায়।
এদিকে কন্যা প্রাসাদ থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বাদশাহ্ ভীষণ রেগে গেলেন। ভৃত্যদের ডেকে পাঠালেন তিনি। তাদের বললেন, আমার মেয়ের সন্ধান কেউ এনে দিতে পরবে তার পা থকে মাথা পর্যন্ত সোনা দিয়ে ঢেকে দেবো। আর সন্ধান দিতে না পারলে সবার গর্দান যাবে।
সবাই তটস্থ হয়ে ওঠে। লোকজন চারটি দলে ভাগ হয়ে বাদশাহ্র মেয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু অনেক খুঁজেও তার সন্ধান মেলে না।
শহরে বাস করতো জাদু-টোনা জানা এক বুড়ি। সে বাদশাহ্র কাছে হাজির হয়ে বলল, হুজুর! আপনার মেয়েকে চুরি করা হয়েছে। সে এখন আছে অনেক দূরের এক শহরে। আমি তাকে এনে দিতে পারি। তবে আমার একটি শর্ত আছে। আপনার জাদুকরদের দিয়ে আমার জন্য একটি উড়ন্ত যান তৈরি করে দিতে হবে। এটাতে দু’ভাবে চালানোর ব্যবস্থা থাকবে। এক চাবি দিয়ে চালালে এটা পুব দিকে যাবে, আরেক চাবি দিয়ে চালালে পশ্চিম দিকে যাবে।
বাদশাহ্র নির্দেশে উড়ন্ত জাদু যান তৈরি হয়ে যায়। বৃদ্ধা জাদুকর তাতে উঠে বসে। চালু করতেই যানটি শূন্যে উঠে দ্রুত চলতে শুরু করে। অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে বুড়ি জাদুকর বেগের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নামে। একটি ঝোপের মধ্যে জাদু যানটি সে লুকিয়ে রাখে। তারপর বেগের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে।
বেগ শিকারে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে সে দেখে বাইরে এক বুড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বেগ জিজ্ঞেস করে- কি ব্যাপার ! কি চাও তুমি ?
বুড়ির চোখ থেকে পানি ঝরে। সে বলে, কি বলবো বাছা ! আমার তিনটি ছেলে। বিয়ে-শাদী করে তারা এখন সবাই ভালো আছে। কিন্তু তাদের কারো কাছেই আমার জায়গা হয়নি। এখন রাস্তাই আমার ঠিকানা।
বুড়ির কথা শুনে বেগের মনে দয়া হয়। বেগ বলে, ঠিক আছে, এখন থেকে তুমি আমার বাড়িতে থাকবে।
বুড়িকে দেখেই বেগের স্ত্রী তাকে চিনতে পারে। স্বামীকে সে জিজ্ঞেস করে- একে কোথায় পেয়েছো? আর বাড়িতেই বা নিয়ে এসেছো কেন?
ভালো মানুষ বেগ বলে, আহা! এভাবে বলছো কেন? অসহায় মানুষ। দুটি রুটি খেতে পেলে আমাদের জন্য দোয়া করবে।
বেগের স্ত্রী কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারে না।
কয়েক দিন কেটে যায়। একদিন বেগ তার দলবল অর্থাৎ দুটি কুকুর, শিয়াল, বাঘ ও সিংহকে নিয়ে শিকারে যায়। বুড়ি এ রকম সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল। বাদশাহর মেয়ের কাছে গিয়ে গলায় মধু ঢেলে বলে, আহা রে বাছা! কতদিন মন খুলে কথা বলতে পারি না তোমার সাথে। চলো, আমরা বাইরে গিয়ে কথা বলতে বলতে একটু হেঁটে আসি।
বুড়ির মিষ্টি কথায় বেগের স্ত্রী রাজি হয়। হাঁটতে হাঁটতে তাকে জাদু যানের কাছে নিয়ে যায় বুড়ি। অদ্ভুত রকমের জাদু যানটি দেখে বাদশাহ্র মেয়ে বলে, বুড়ি মা, কেমন জিনিস এটা দেখেছো?
বুড়ি জবাব দেয়- এটা মনে হয় উড়তে পারে। চলো তো চড়ে দেখি।
বাদশাহ্র মেয়ে তার সাথে জাদু যানে ওঠে। বুড়ি যানটির উপরের ঢাকনা নামিয়ে দিয়ে চাবি ঘুরিয়ে তা চালু করে। শূন্যে ওঠার পর জাদু যানটি চলতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বাদশাহর বাড়ির কাছে পৌঁছে নেমে পড়ে বুড়ি। মেয়েকে ফিরে পেয়ে উল্লসিত বাদশাহ্ কথামতো বুড়িকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত সোনা উপহার দেন।
৩.
বাড়ি ফিরে বেগ দেখে তার প্রিয়তমা স্ত্রীও নেই, বুড়িও নেই। বাঘা বুঝতে পারে-ঐ বুড়ি ছিল জাদুকর। সেই বেগের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে।
সবাই মিলে আবার বৈঠকে বসে। বাদশাহ্র মেয়েকে যেভাবেই হোক আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। দীর্ঘ পরামর্শের পর ঠিক হয় যে বাঘ ও সিংহকে এ দায়িত্ব দেয়া হবে। কি করে কি করতে হবে তা ভালো করে দুজনকে বুঝিয়ে দেয় বাঘা।
বাঘ ও সিংহ বাদশাহ্র প্রাসাদের কাছে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে বাঘ বাদশাহ্র মেয়ের ঘরের দরজায় টোকা দেয়। এদিকে বাদশাহ্র মেয়ে এখানে আসার পর থেকেই স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার উপায় খুঁজছিল। নাওয়া-খাওয়া ত্যাগ করেছিল সে। চোখে ঘুমও ছিল না। অত রাতে দরজায় টোকার শব্দ শুনেই সে লাফ দিয়ে উঠে দরজা খোলে। বাঘ ও সিংহকে দেখে সে খুশিতে লাফিয়ে ওঠে। তারপর…
সকাল হতেই বাদশাহ্র কানে দুঃসংবাদ পৌঁছে। সাথে সাথে বুড়িকে তলব করেন তিনি। বলেন, আমার মেয়েকে আবার চুরি করা হয়েছে। এবার যদি তুমি তাকে এনে দিতে পারো, তাহলে অর্ধেক রাজ্য দেবো তোমাকে।
রাজার কথা শুনে বুড়ি জাদুকর বলে, জাঁহাপনা, আমাকে ক্ষমা করুন। আমি আবার সেখানে গেলে তারা আমার মাথা মুড়িয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে কুকুর দিয়ে খাওয়াবে। এখন তাকে ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় সৈন্য পাঠানো।
বুড়ির সাথে বাদশাহ্ একমত হন। বিরাট এক সৈন্যদল সংগ্রহ করেন তিনি। বেগের শহরে পৌঁছে তারা।
বেগ ভাবে, এরা আমাকে হত্যা করে সবকিছু ধ্বংস করবে, আমার স্ত্রীকেও নিয়ে যাবে। কি করবে, বুঝতে পারে না সে।
বাঘা তাকে বলে, হুজুর! আপনি একটুও ভয় পাবেন না। আমরাও সৈন্য বাহিনী জোগাড় করছি। একটু ধৈর্য ধরুন।
সাথীদের সাথে পরামর্শ করে বাঘা। তারপর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ আরম্ভ হয়।
সংকর কুকুর বাড়ির বাইরে গিয়ে ডাকতে শুরু করে- ঘেউ ঘেউ … ঘেউ ঘেউ। তার ডাকে একের পর এক অসংখ্য সংকর কুকুর এসে সেখানে জড়ো হতে থাকে।
শিয়াল একটু দূরে মাঠের মধ্যে গিয়ে ডাকতে থাকে-হুক্কা হুয়া … হুক্কা হুয়া। তার সে ডাকে পিলপিল করে অগুণতি শিয়াল চলে আসে।
বাঘ রাস্তায় গিয়ে গর্জন শুরু করে-হালুম … হালুম।। কিছুক্ষণের মধ্যে বহু বাঘ সেখানে চলে আসে।
সিংহ তার গুরুগম্ভীর হুঙ্কারে আশপাশের এলাকা কাঁপিয়ে তোলে। অল্প সময়ের মধ্যেই সিংহ আর সিংহে ভরে যায় জায়গাটি।
বেগের স্ত্রী অত্যন্ত বুদ্ধিমান বাঘাকে পশুবাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করে। সে নির্দেশ দেয়-
: বাঘ ও সিংহরা বাদশাহ্র সৈন্যদলকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দেবে, আর কুকুর ও শিয়ালরা তাদের গায়ের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলবে।

যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বাঘ ও সিংহের থাবার প্রচণ্ড আঘাতে বহু সৈন্য হতাহত হয়। কুকুর ও শিয়াল বাহিনীও তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে। এভাবে বাদশাহর গোটা সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রাণ নিয়ে কোনো রকমে পালায় বাদশাহ্ ও বুড়ি ।
বেগ ও তার স্ত্রী তাদের পরম বন্ধু পশু বাহিনীর সবাইকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।*
*গল্পটির মূল নাম ‘ফ্রেন্ডস।’

Share on facebook
ফেইসবুক
Share on twitter
টুইটার

Leave a Comment