নকীব বন্ধু,
বদলে যাচ্ছে পৃথিবী, কিন্তু সব বদলই সুন্দর হচ্ছে না। এখন এমন সময় চলছে, যখন ক্ষমতার লোভে নিজ দেশের মানুষও হত্যা করে। আর সে অন্যায়ের দায় চাপিয়ে দেয় মুসলমানদের ওপর। আর দুঃখের বিষয় হলো, সিনেমা, গল্প, এমনকি খবরের কাগজেও মুসলমানদের ‘সন্ত্রাসী’ বা ‘জঙ্গি’ বলে দেখানো হয়।
আমরা মুসলিম, কিন্তু এ সব দেখে-শুনেও যেন কিছু বুঝতে চাই না। নতুন দুনিয়ার ভাষা ও বাস্তবতা আমাদের অনেকের কাছে অপরিচিত। আমরা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছি—ভাবছি, এসব আমাদের কথা না। অথচ, সত্যি কথা হলো—এই পৃথিবীর, এই সময়ের বড় অংশই আমাদের নিয়েই।
নকীব বন্ধু,
তুমি হয়তো জানো, ভারতে মুসলমানদের মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান—সবকিছু বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নামে সেখানকার সরকার মুসলমানদের ওপর একের পর এক অন্যায় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের ভয় দেখিয়ে, ঠেকিয়ে রাখতে চাইছেন।
কিছুদিন আগে কাশ্মীরে এক ভয়াবহ হামলা হয়, যা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক বলছেন—এই হামলার ঘটনার পেছনে ভারতেরই হাত থাকতে পারে, যাতে মানুষ ওয়াকফ আইন বাতিল ও মুসলিম নিপীড়নের আসল ঘটনা ভুলে যায়।
এই সব শুনে শুধু মন খারাপ করলে চলবে না, প্রিয় নকীব বন্ধু। তোমাকে জানতে হবে, ভাবতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে। তুমি এখন কিশোর—কিন্তু কালের ধারায় একদিনই তো তুমিই হবে উম্মাহর প্রতিনিধি। তোমাকে হতে হবে তারিক বিন জিয়াদের মতো সাহসী, সালাহউদ্দিন আয়ুবির মতো দূরদর্শী, কিংবা হাজী শরীয়তউল্লাহ ও মওলানা ভাসানীর মতো সত্যভাষী এবং শাইখ ফজলুল করীম রহিমাহুল্লাহর মতো আদর্শবাদী, নীতি অটল, দৃঢ় প্রত্যয়ী।
এই শতাব্দীতে ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে কথা বলার মতো চিন্তাশীল, জ্ঞানভিত্তিক, সদাচারী তরুণই আমাদের দরকার। আর সেই কাজ শুরু করতে হবে এখনই—তোমার ভেতরের ‘নকীব’টাকে জাগিয়ে তুলে। যিনি সত্যের বার্তা দেন, আলোর দিশা দেখান।
নকীব বন্ধু,
তোমার হাতেই উম্মাহর ভবিষ্যৎ। সাহস রাখো, জ্ঞান অর্জন করো, নিজের দায়িত্ব বুঝে সামনে এগিয়ে চলো।
আর দেরি নয়—এখনই তোমার জেগে ওঠার সময়।