মেঘে ঢাকা আকাশ। আকাশতলে ভেলা ভাসছে সকাল থেকে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা। তবে আকাশ মনে হয় আজ অঝোর ধারায় কাঁদবে না।
দিনটা ছিলো রোববার। তারিখ ২৮-০৪-২০১৯ ঈ.। বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষের পথে। আজ দিলেই সমাপন ঘটবে। পরীক্ষা থেকে বের হয়ে শুনি, আজ সকাল আমার চাচা তালেব হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। এই শোকসংবাদটি শোনামাত্রই আমি আকাশ থেকে নামলাম। তড়িঘড়ি করে বাড়িতে গিয়ে জানাজায় শামিল হলাম। এরপর দাফনের কাজ সারলাম।
হে আল্লাহ! আমার প্রিয় চাচাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করো।
চাচার মৃত্যুত আজ অনেক স্মৃতির গদ্য আমার চোখের সামনে ভাসছে। বর্ণাঢ্য জীবনের রকমারি কথা পই পই মনে পড়ছে। তিনি তখনকার এসএসসি পাস ছিলেন বটে, কিন্তু দূরদর্শিতায় তিনি ছিলেন আরো বহুগুণ অগ্রে। প্রতিটি কাজ খুব ভেবেচিন্তে করতেন।
দুনিয়ার কল্যাণের সাথে সাথে পরকালীন কল্যাণ ও মুক্তির কথাও মাথায় রাখতেন সবসময়। তাই তো মৃত্যুর ক’দিন আগেও বাড়ির পাশে একটি মক্তব চালু করে যান। এছাড়াও মাসজিদ-মাদরাসা পরিচালনার সাথে তিনি ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে ছিলেন অমায়িক। আচরণে উচ্চারণে ছিলেন নরম। কেউ পরামর্শ চাইলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করতেন বরাবর।
আমি ছিলাম চাচার খুব স্নেহধন্য। ছোটোবেলায় আমাকে সাথে করে মাদরাসায় দিয়ে আসতেন। আজ চাচার শূন্যতা টের পাচ্ছি ক্ষণে ক্ষণে।
হে দয়াময় প্রভু! এপারের ন্যায় ওপারেও শান্তিতে রাখো আমার প্রিয়তম চাচাকে। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।
